চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে দেরি হয় প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা। মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত হলেও দিনের শুরুটা একদমই শুভ হয়নি বাংলাদেশের জন্য।
বল হাতে ঝড় তোলেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি।
দিনের শুরুতেই তার বোলিং তোপে দ্রুতই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাইজুল ইসলামও—মাত্র ১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
৬০ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দিনের শুরুটা মোটেই সুখকর হলো না তার জন্য।
দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরতে হলো তাকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত মুজারাবানির শর্ট বলটি পুল করতে গিয়েছিলেন, তবে টাইমিং ছিল না একদমই। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল ভেসে যায় আকাশে। লং লেগে অবস্থান নেওয়া নিয়াউচির হাতে সহজ ক্যাচ ধরা পড়ে।
১০৫ বলে ৬০ রানেই থেমে যায় শান্তর ইনিংস।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের সূচনাতেই মুজারাবানিকে চার মেরে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেননি বেশি সময়।
মাত্র ১৬ বল খেলে ১১ রান করে আবারও মুজারাবানির বলেই গালিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে।
একটু খাটো লেংথের বলটি খেলতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন মিরাজ, ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ না হওয়ায় বল উড়ে যায় গালির দিকে। সেখানে নির্ভুল ক্যাচ নেন বেনেট।
মিরাজকে ফিরিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন রিচার্ড এন মুজারাবানি। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা এই জিম্বাবুয়ান পেসারের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার।
মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তিনিও ইনিংস টিকিয়ে রাখতে পারেননি। এনগারাভার বলে উইকেটকিপার মায়াভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৩ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
ক্রিজে আছেন জাকের আলী ও হাসান মাহমুদ। ৩১ রানে অপরাজিত জাকের, হাসান ৪ রানে।